প্রতিদিন হাজার টাকা আয় অনলাইনে কাজ করে

প্রতিদিন হাজার টাকা আয় অনলাইনে কাজ করে শুধুমাত্র ইমেইল মার্কেটিং করে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবসা কিংবা ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন কাজের ইমেইল ব্যবহার করে থাকি। ইমেলের মাধ্যমে আমরা খুব কম সময়ের মধ্যে ছোট বড় অনেক তথ্য আদান-প্রদান করতে পারি। শুধু তাই নয় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত আবার এক দেশ থেকে অন্য দেশে তথ্য আদান প্রদান করতে পারি। ইমেইল মার্কেটিং এর কাজ হলো বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিষয়ক বিভিন্ন অফার এবং

প্রোমোশন  ইমেইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে সেবা প্রদান করা হয় ও কোম্পানির যে মার্কেটিং করা হয়, এটি হলো ইমেইল মার্কেটিং।এই প্রন্থা বা পদ্ধতি ব্যবহার করে কাস্টমারের কাছে পণ্যর বিভিন্ন তথ্য বিজ্ঞাপন বিবরণ দেখানো হয়। মেয়ের মার্কেটিং এর মাধ্যমে উক্ত কোম্পানির সেলস অতি দ্রুত বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়।আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা ইমেল মার্কেটিং সম্পর্কে জানবো এবং ইমেইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করতে পারবো সে সম্পর্কে ধারণা নিব।

ফ্রিল্যান্সিং জগতে ইমেইল মার্কেটিং এর গুরুত্বের কোন সীমা নেই। ইমেইল মার্কেটিং হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। টিমের মার্কেটিং এর মত করার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশি ও বিদেশী কোম্পানির পণ্যের বা প্রমোশনের বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়ে থাকে। উক্ত কোম্পানির বা প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পণ্যের তথ্য ব্যবহার করে সংগ্রহীত কাস্টমার বা ক্রেতাদের কাছে মেইল করে পাঠানো হয়। বর্তমানে অন্যান্য উন্নত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও ইমেইল মার্কেটিং ব্যাপক সারা ফেলেছে।

উন্নত দেশের মানুষ ইমেল মার্কেটিং এর প্রতি অনেক `আসক্ত। তারা বিভিন্ন পণ্য বা তথ্য আদান-প্রদান ইমেলের মাধ্যমে করে থাকে। কোন নতুন কোম্পানির বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য ইমেল মার্কেটিং অত্যন্ত গুরুত্ব ভূমিকা পালন করে থাকে। ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে যেমন পণ্যের প্রমোশন বা বিজ্ঞাপন করা হয় তেমনি কাস্টমার খুঁজে বের করার কাজে ব্যবহৃত হয়। ইমেইল মার্কেটিং করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনার অনুসন্ধান যত বেশি হবে আপনি লিড জেনারেশন তত বেশি হবে।

আমাদের দৈনন্দিন কাজে বা কোন প্রয়োজনে যে ইমেইল গুলো একে অপরের সাথে আদান প্রদান করে থাকি সেগুলো ইমেইলে কোন প্রকার বিশেষ ডিজাইন করা থাকেনা। সাধারণত আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় টেক্স, ছবি বা কোন ফাইল পাঠিয়ে থাকি। কিন্তু ইমেইল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এটি একদম ভিন্ন আপনাকে প্রতিটি ইমেইল পাঠানোর পূর্বে  ইমেইল টি সুন্দরভাবে ডিজাইন করে আকর্ষণীয় করতে হবে। আর এটিকেই বলে ইমেইল টেমপ্লেটিং। আপনার যদি আগ্রহ ও পরিশ্রম দেওয়ার মানসিকতা থেকে থাকে তাহলে শুধু ইমেইল টেমপ্লেটিং করার মাধ্যমে মার্কেটপ্লেস থেকে মাসে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারেন।

ইমেইল মার্কেটিং করে কোম্পানির সেল বৃদ্ধি পায়। কোম্পানির সেলস বৃদ্ধির জন্য ইমেল টেমপ্লেটি আকর্ষণীয় ভাবে ডিজাইন করে করতে হবে। শুধু টেমপ্লেটিং এর দিকে নজর রাখলে হবে না, আকর্ষণীয় ও সুন্দরভাবে মেসেজ লেখার প্রবণতা ও দক্ষতা থাকতে হবে। ইমেল মার্কেটিং এর জন্য সুন্দর ও আকর্ষণীয় ভাবে মেসেজ লেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উক্ত পণ্যের কনটেন্ট বা বিবরণ এমনভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে হবে যাতে কাস্টমার আকর্ষিত হয়। এবং অন্য সেবা সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, আপনার কাস্টমার কি চাই, কাস্টমারের কোন জিনিসের প্রতি আগ্রহটা বেশি। এগুলো মাথায় রেখে কাস্টমারের দৃষ্টিভঙ্গি ও চাহিদা দেখে সুন্দরভাবে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। পন্যের সম্পর্কে সরাসরি গ্রাহকের সামনে সাপোর্ট না করে গল্প আকারে প্রস্তুত করলে সেটি দেখতে আকর্ষণীয় ও লোভনীয় হবে। পন্যের সেবা সমূহ প্রচারের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সেই কনটেন্টে বিভিন্ন ধরনের অফার বা কুপন সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে থাকবেন। এতে করে আপনার গ্রাহক উক্ত পণ্য সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করবে।

ইমেইল মার্কেটিং এর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সময়। ইমেল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সঠিক সময় অনুযায়ী মেইল বা বার্তা গ্রাহকের কাছে পাঠাতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় যে আপনি এমন সময় কাস্টমার বা গ্রাহকের কাছে ইমেইল পাঠালেন কাস্টমার তার ব্যস্ততার কারণে মেইল পড়ার সময় পেলেন না। আপনি নানা প্রকার বুদ্ধি খাটিয়া কাস্টমারের অবসর সময়ে ইমেইল পাঠাতে পারেন। যেমন বাংলাদেশে সকাল ৮ থেকে ১০,দুপুর ১ থেকে ৩ ও রাত ৮ থেকে ১০।এই সময়গুলোতে অধিকাংশ মানুষের বিশ্রাম নিয়ে থাকে ফলে তারা অবসর সময় কাটাই, আপনি যদি এই সময়গুলোতে গ্রাহকের কাছে আপনার ইমেইল পাঠান অবশ্যই তারা দেখার চেষ্টা করবে।

আবার আপনি যদি বাইরে দেশে ইমেইল মার্কেটিং করে থাকেন তাহলে আপনার ওই দেশের টাইম সিডিউল বা সময় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। আবার বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন দিন ছুটি থাকে ওইগুলো দিনে কাস্টমাররা তাদের বেকার সময় পার করেন ফলে তারা অনেক সময় অনলাইনে ফোনের মাধ্যমে বা ল্যাপটপে ব্যয় করে। ওইগুলো দিনে আপনি যদি ইমেইল গ্রাহক দের কাছে পৌঁছান তারা অবশ্যই সেই ইমেইল দেখার পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করবে। এভাবে আপনি টাইম সিডিউল মেইন টেইন করে যদি গ্রাহকদের আপনার পাঠানো ইমেইল দ্বারা আকর্ষণী সৃষ্টি করাতে পারেন তাহলে কোম্পানির সেলস বৃদ্ধি পাবে ও আপনার ইমেইল মার্কেটিং করে আয়ের পথ সহজ হবে।

আমরা সাধারণত আমাদের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ইমেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে আউটলুক ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু ইমেইল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই নিজের স্মরণে রাখতে হবে জিমেইল আউটলুক ব্যবহার করা যাবে না। এইসব ফ্রি ইমেইল ব্যবহার করে একসঙ্গে একাধিক মেইল পাঠানো যাবে না। অনলাইনে বিভিন্ন সফটওয়্যার যা ব্যবহার করে আপনি একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তির কাছে ইমেইল এর মাধ্যমে আপনার বার্তা পাঠাতে পারেন। এসব সফটওয়্যার অথবা টুলস এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ইমেইল মার্কেটিং করতে পারেন।

এইসব টুলস দিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এগুলো কিনে তারপর ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি কোন ক্লায়েন্ট বা কোম্পানির জন্য কাজ করে থাকেন তাহলে ওই ক্লায়েন্ট  বা কোম্পানি আপনাকে এইসব টুলস বা সফটওয়্যার কিনে দিয়ে থাকবে। আপনাকে অবশ্যই স্পষ্ট ধারণা ও সঠিক ব্যবহার জানতে হবে। যদি আপনি এই টুলস বা সফটওয়্যার খুব ভালোভাবে যদি আয়ত্ত করতে পারেন তালে খুব সহজে আপনার ইমেইল মার্কেটিং এ ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন। তাই দ্রুত ইমেইল মার্কেটিং করে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করে স্বাবলম্বী হবেন। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের টুলস বা সফটওয়্যার রয়েছে সেগুলোর নাম উল্লেখ করা হলোঃ

আপনি যদি অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অল্প সময়ে ও খুব দ্রুত অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে আপনার জন্য ইমেইল মার্কেটার একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম। আপনি যদি একজন দক্ষ ইমেল মার্কেটার হতে পারেন তাহলে আপনি মাসে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ইমেল মার্কেটিং এর কাজ খুবই সহজ বিধায় যে কেউ এই কাজটি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইমেল মার্কেটিং করে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করেছে মানুষ। ফ্রিল্যান্সিং পরিসংখ্যান অনুযায়ী শুধু যুক্তরাষ্ট্র ইমেইল মার্কেটিং করে বাৎসরিক ৭০ হাজার ডলারনউপার্জন করেছে ইমেল মার্কেটার।

১. কমিউনিকেশন স্কিলঃ আপনার কমিউনিকেশন স্কিল যত ভালো হবে আপনি তত ভালো  মার্কেট আর হতে পারবেন। আপনার কমিউনিকেশন স্কিউ যদি ভালো হয় তাহলে আপনি আপনার পণ্যের তথ্য,সেবা ও অফার সম্বন্ধে গ্রাহকদের ভালোভাবে বুঝিয়ে তাদের আকর্ষণ আপনার পণ্যের দিকে নিতে পারবেন। আপনার কমিউনিকেশন স্কিল যদি ভালো না হয় তাহলে আপনি গ্রাহকদের কাছে এই সেবাগুলো পৌঁছে দিতে পারবেন না সঠিকভাবে তাদের কাছে আপনার তথ্য উপস্থাপনা করতে পারবেন না। ফলে আপনার গ্রাহক আপনার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলবে এজন্য সঠিক সুন্দর কমিউনিকেশন স্কিল অর্জন করতে হবে। 

২. টেকনিক্যাল স্কিলঃ শুধু ইমেইল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে নয়, বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ও দৈনন্দিন জীবনেও টেকনিক্যাল স্কিল্ড হওয়া অতি অবশ্যক। আপনাদের টেকনিক্যাল স্কিল ভালো না হয় ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। শুধুমাত্র টেকনিক্যাল স্ক্রিনের মাধ্যমে আপনি গ্রাহকদের সাথে সঠিকভাবে কমিউনিকেশন করতে পারবেন ও তাদের আস্থা অর্জন করতে পারবেন। আপনি যদি ইমেল মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে অটোমেশন মাধ্যম ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারেন তাহলে আপনার অনেক কাজ সহজ হয়ে যাবে।

আপনার কাছে 50000 ব্যক্তির ইমেইল রয়েছে তাহলে একবার চিন্তা করেন আপনার কত ঘন্টা বা কতদিন লাগবে ওই সব ব্যক্তিদের কাছে আপনার ইমেইল পৌঁছাতে। এই সমস্যা সমাধানে শুধু অটো মেশিন সম্পর্কে জানতে হবে বিভিন্ন টুলস ও সফটওয়্যার ব্যবহার করে কিছু মিনিটের মধ্যে আপনি হাজার হাজার ব্যক্তির কাছে ইমেইল পৌঁছে দিতে পারবেন। প্রথমবার কোন ব্যক্তির কাছে একটি ইমেইল পাঠানোর পর পরবর্তীতে আরো একটি ইমেল পাঠাতে হয়, সেক্ষেত্রে আপনি অটোমেশন ব্যবহার করে খুব সহজেই ইমেইল পাঠাতে পারেন। আবার এরূপ বিভিন্ন প্রোগ্রাম ব্যবহার করে আপনার কাজ সহজ খুব সহজ করে নিতে পারেন।

বিশেষজ্ঞ ইমেইল মার্কেটার দের তথ্য অনুসারে কোম্পানির মার্কেটিং করার জন্য মোবাইল বা মুঠো ফোনের মাধ্যমে পৌঁছে যাই এমন কিছু খুঁজে থাকেন।বিশেষজ্ঞদের মতে আরো তথ্য পাওয়া যায় বিশ্বের ৭৯℅ তাদের মোবাইলের মাধ্যমে মেইল চেক করে থাকেন। এছাড়াও তারা আরো দাবি করে থাকেন গত চার বছরে মোবাইলের মাধ্যমে মেইল চেকিংয়ের হাড় বেড়েছে ১৯০ শতাংশের ও বেশি। এইজন্য ইমেইলকে মোবাইল ফ্রেন্ডলি হিসেবে তৈরি করা অতি অবশ্যই। ফলে এর মার্কেটিং এর একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর নিকট হতে মার্কেটিং করে অধিক অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

শেষ কথাঃ প্রতিদিন হাজার টাকা আয় অনলাইনে কাজ করে