দ্রুত ওজন কমানোর উপায় ও ডায়েট চার্ট
দ্রুত ওজন কমানোর উপায় ও ডায়েট চার্ট প্রতিটি স্থুল দেহ সম্পন্ন ব্যাক্তির
অনুসরন করা অবশ্যক। অতিরুক্ত ওজন সকল মানুষ এর জন্য ঝুকিপূন্য। কারো জন্যই
অতিরিক্ত ওজন কাম্য ন্য। সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য ও সত্য জীবন কাম্য রয়েছে এবং এর
জন্য সবার আগে প্রয়োজন নিজের ওজন ঠিক রাখা। বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের
জীবনধারা প্রতিনিয়ত পাল্টে যাচ্ছে ফলে আমরা আমাদের স্বাস্থ্যের দিক খুব একটা
লক্ষ্য করি না। যার কারণে ওজন খুব দ্রুত সময়ে বৃদ্ধি পায় যা মানুষের
স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
সঠিক ওজন যদি না অর্জন করতে পারি তাহলে বিভিন্ন রোগ আমাদের দেহে বাসা বেঁধে
নিবে। মোটা হওয়া কারণে অনেক কাজ করা সম্ভব হয় না। ভারী কাজ করতে গেলে অল্পতেই
হাঁপিয়ে যায়। দৌড়াদৌড়ি বা খেলাধুলা করার মত শক্তি বা পরিশ্রম করা সম্ভব হয়
না। আজকে আমরা এই ব্লগে ওজন কমানোর ও সঠিক ওজন অর্জনের উপায় সমূহ বর্ণনা করবো
যেটি পুরুষ ও মহিলা দুজনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পেজ সূচিপত্রঃ অল্প সময়ে মধ্য দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
- কিভাবে ওজন কমাবেন তার কিছু সহজ উপায়
- নিয়মিত ব্যায়াম এর মাধ্যমে দ্রুত ওজন কমান
- সুষম খাদ্যাভ্যাস ওজন কমাতে সক্ষম
- চিনিযুক্ত খাবার ও পানি পরিহার করে দ্রুত ওজন কমান
- খাবার গ্রহনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন দ্রুত ওজন কমান
- কুসুম গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খেয়ে ওজন কমে
- স্বাভাবিক ওজন রাখা মানব দেহের গুরুত্ব
- স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও বিএমআই শ্রেনীভাগ
- যে সকল ফল খেয়ে দ্রুত ওজন কমাবেন
- মূল কথাঃ দ্রুত ওজন কমানোর উপায় ও ডায়েট র্চাট
কিভাবে ওজন কমাবেন তার কিছু সহজ উপায়
মোটা হওয়ার কারণে ব্যক্তি জীবন কষ্টকর ও বিরক্তিময় হয়ে ওঠে। বর্তমানের কোন
পুরুষ বা মহিলা চায়না তার দেহে মেদ ভুরি হোক বা মোটা হোক। মেদুভুরির বৃদ্ধির
কারণে শরীরের নষ্ট হয়, শারীরিক গঠনে বিকৃতি দেখা দেয়। মোটা হওয়ার কারণে
শুধু শারীরিক সুন্দর্য নষ্ট হয় না দেহে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হয়। বর্তমানের
মানুষের ব্যস্ত জীবনে সঠিকভাবে নিজের শরীরের যত্ন নিতে পারেনা বা ফিটনেস ঠিক
রাখতে পারেনা।
আরো পড়ুনঃ
যদি আপনি আপনার ব্যস্ত সময় থেকে কিছু সময় বের করে নিজের ফিটনেস ধরে রাখেন
তাহলে আপনি সুস্থ দেহের অধিকারী হবেন। ওজন কমানোর জন্য যেটি সবথেকে বেশি
জরুরি তাহলো ওজন কমানোর খাদ্য তালিকা অনুসরণ করা।
নিয়মিত ব্যায়াম এর মাধ্যমে দ্রুত ওজন কমান
দ্রুত ওজন কমানো উপায় ও ডায়েট চার্টের মধ্যে উন্নতম একটি উপায় হলো দৈনিক
ব্যায়াম করা। দ্রুত ওজন কমানো উপায় ও ডায়েট চার্টের মধ্যে উন্নতম একটি উপায়
হলো দৈনিক ব্যায়াম করা। যাদের ডায়াবেটিস কিংবা হাঁপানি বা এজমা জাতীয় রোগে
ভুগছে তাদের জন্য শরীর চর্চা অনেক ভালো একটি কার্যক্রম। দৈনিক ব্যায়াম করার
ফলে মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা পাই আবার দেহের স্থুলতা রোধেও সাহায্য করে থাকে।
সুষম খাদ্যাভ্যাস ওজন কমাতে সক্ষম
দ্রুত ওজন কমানোর উপায় ওর ডায়েট চার্ট যদি অনুসরণ করেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই
স্বাস্থ্যকর খাদ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে অবশ্যই অবগত থাকতে হবে। ওজন কমানোর জন্য
নয় সুস্থ দেহের অধিকারী হওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা অপরিহার্য।
সুষম খাদ্য অভ্যাস গ্রহণের সব থেকে বড় সুবিধা হল স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা
যায়। সুষম খাদ্য বলে আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে ও স্থূলতা সম্পর্কিত সমস্যা
থেকে সমাধান করতে সাহায্য করে।
প্রথম খাদ্য গ্রহণের ফলে আপনার দেহের খনিজ, মিনারেল, ফাইবার, ভিটামিন গ্রহণ করে
যা আপনার স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সুষম খাদ্য গ্রহণ করার কারণে
ফাইবারের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ফলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য
রোগ রোধে সাহায্য করে। যার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে যায়। সুষম খাদ্য
গ্রহণের ফলে ওজন কমার পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। সুষম
খাদ্যের পুষ্টিগুণ ত্বকের পুষ্টি গুণ বৃদ্ধি করে ও পরিষ্কার ত্বক বজায় রাখতে
সাহায্য করে।
চিনিযুক্ত খাবার ও পানি পরিহার করে দ্রুত ওজন কমান
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন জরুরী তেমনি স্বাস্থ্যকর
খাবারের সব থেকে বড় শত্রু হচ্ছে চিনি, চিনি যুক্ত খাবার বা পানি। আপনি যদি
চিনি যুক্ত অথবা অধিক চিনি যুক্ত খাবার খাওয়া বা পানি পান করা অধিক প্রিয়
হয়ে থাকে তাহলে আপনার জন্য জেনে রাখা উচিত চিনি আপনার সাথে জন্য এতটা উপকারী
বা মিষ্টি নয়। চিনি হলো ক্যালোরি যা আপনি খাচ্ছেন, যার প্রধান সমস্যা হয়ে
দাঁড়াচ্ছে আপনার ওজন বৃদ্ধি।
চিনি খাওয়ার ফলে আপনার দেহে যতটুক প্রয়োজন ততটুক শক্তি তে রূপান্তরিত করছে
বাকিটুকু আপনার চর্বি বৃদ্ধি করছে দেহের। আপনাকে ধীরে ধীরে চিনি কখন থেকে
বেরিয়ে আসতে হবে এবং চিনিযুক্ত কোমল পানীয় পরিহার করতে হবে ফলে আপনার ওজন
কমাতে সক্ষম হবেন। চিনি যুক্ত খাবার বা পানি খাবার ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
বাড়ে। অবস্থায় আপনি যখন চিনি পরিহার করতে যাবেন তখন আপনার চিনির গ্রহনের
আকাঙ্ক্ষা দেখা দিবে কিন্তু একটি সময় ধীরে ধীরে তিনি গ্রহণের আকাঙ্ক্ষা অনুভব
করবেন না।
খাবার গ্রহনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন দ্রুত ওজন কমান
ওজন কমানোর জন্য খাবারের অভ্যাস ও খাবার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পরিমাণে অল্প
খাবেন কিন্তু বারবার খাবেন ফলে যতটুক পুষ্টি প্রয়োজন ততটুকু দেহ গ্রহণ করব।
বেশি পরিমাণে বা অধিক খাবার একবারে গ্রহণ করলে যতটুক দেহের প্রয়োজন শক্তি
বৃদ্ধি করতে ততটুকু নিয়ে বাকিটুক চর্বি বৃদ্ধি করে। যার কারণে খাদ্য অভ্যাস
পরিবর্তন করা জরুরী। অল্প পরিমাণে খাবার খেলে তা ওজন কমাতে বেশি কার্যকরী হয়ে
থাকে। প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় বার খাবার খাবেন কিন্তু পরিমাণে কম করে এর ফলে
দেহে প্রোটিন এবং ফাইবার বজায় থাকবে।
আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যখন খাবার খাবেন মনোযোগ সহকারে খাবেন এর ফলে
আপনি খাবারের পূর্ণ স্বাদ পাবেন ও অধিক খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। যখন
খাবার খাবেন খেয়াল রাখবেন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এর পরিমাণ যেন বেশি থাকে। এটির
ফলে আপনার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরে থাকবে। যখন স্ন্যাকস
অথবা নাস্তা করবেন তখন খেয়াল রাখবেন স্বাস্থ্যকর স্নেক খাবার খাওয়ার।
আরো পড়ুনঃ
কুসুম গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খেয়ে ওজন কমে
বর্তমানে অনেকে ওজন কমাতে চাই তাদের মধ্যে অনেকেরই মিষ্টি জাতীয় শরবত, সফট
ড্রিংক এর প্রতি আকর্ষণ বেশি থাকে। আপনার যদি ওজন কমানো ইচ্ছের দৃঢ় থাকে তাহলে
আপনাকে এসব সফট ড্রিংক পরিহার করেন লেবুর উষ্ণ পানি পান করতে হবে। লেবুর পানি
পান করার ফলে আপনার দেহে যেমন তৃষ্ণার্ত ভাব কমে যাবে অপরদিকে দেহে ক্যালোরি ও
কম প্রবেশ করবেন। লেবুর পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা দেহে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করে।
যার ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং দেহের কোষকে ক্ষতিকর ভাইরাস
থেকে সুরক্ষিত রাখে। আপনি যদি সকালে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে
প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানিতে একটি পুরো লেবুর রস নিয়ে যদি খাওয়ার
অভ্যস্ত করতে পারেন তাহলে একদিকে আপনার ওজন করবেন অন্যদিকে আপনার হজম শক্তি
বৃদ্ধি করবে। লেবুর পানি পান করার ফলে আপনার দেহের ভিটামিন সি ঘাটতি পূরণ করবে।
কোন ক্ষত বা ঠোঁট ফাটা মত যদি কোন সমস্যা থেকে থাকে সেগুলো দূর করতে সাহায্য
করবে।
লেবুর পানি পান করার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে ও চেহারার চামড়া টানটান
সাহায্য করবেন। লেবুর পানি পান করার ফলে যেমন আপনার পেটের চর্বি কমাতে কার্যকরী
ভূমিকা রাখে, তেমনি কিডনিতে পাথর হওয়া ঝুঁকিও কমে যায়। প্রতিদিন লেবুর পানি
পান করার ফলে শরীর ও মন সতেজ থাকে, দেহে ক্লান্তি ভাব থাকে না ও কাজের প্রতি
আগ্রহ বেড়ে যায়। তাই প্রতিদিন এক গ্লাস গরম পানিতে একটি লেবু মিশিয়ে খাওয়া
অত্যন্ত উপকারী।
সতর্কতাঃ যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের লেবুর পানি পান করলে
অনেকে বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে। কারণ লেবুতে রয়েছে সাইটিক এসিড।
তবে লেবু পানি পান করার থেকে এসব ব্যক্তিদের বিরত থাকলে ভালো হয় এবং বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কার্যকারী উপায় অনুসরণ করতে হবে। আপনি এটি কাজ করতে
পারেন একটানা লেবুর পানি পান না করে কিছুদিন বিরতি দিয়ে দিয়ে লেবুর পানি পান
করতে পারে এতে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে দিবে না। লেবুর পানিতে
অধিক ভিটামিন সি থাকার কারণে এটি তাদের ক্ষতি করতে পারে। আপনাকে অবশ্যই পানি
পান করার পর ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে।
স্বাভাবিক ওজন রাখা মানব দেহের গুরুত্ব
স্বাভাবিকের থেকে অতিরিক্ত ওজন কারো জন্য কাম্য নয়। সুষ্ঠ ও স্বাস্থ্যকর
জীবন সকলের জন্য কাম্য তার জন্য সবার প্রথমে যা প্রয়োজন তা হচ্ছে সঠিক ওজন।
পুরোপুরি ভাবে নিজেকে সুস্থ রেখে পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে অতিরিক্ত ওজন
কমিয়ে নিজে সুস্থ থাকা যায়। সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রতিমাসে চার থেকে
পাঁচ কেজি ওজন কমানো সম্ভব। তবে কারো যদি এক মাসে ছয় থেকে সাত কেজি ওজন কমানো
জরুরি হয়ে থাকে হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামশু নেওয়া উচিত।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও বিএমআই শ্রেনীভাগ
বি এম আই ক্যালকুলেটর এর মাধ্যমে জানতে পারা যায় মানব দেহ কি পরিমান চর্বি
রয়েছে তা কি বেশি নাকি কম সে সম্পর্কে অবগত থাকা যায়। বি এম আই ক্যালকুলেটর
মাধ্যমে একজন স্বাভাবিক ব্যক্তির স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। বি
এম আই এর মাধ্যমে যেহেতু আমরা স্বাস্থ্য সম্পর্কে অবগত থাকছি সেক্ষেত্রে আমরা
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওজন বাড়াতে বা কমাতে অবগত হতে পারি।
শ্রেনী | বিএমআই (কেজি/মি২)পুরুষ | ক্যাটাগরি | বিএমআই (কেজি/মি২)মহিলা | ক্যাটাগরি |
---|---|---|---|---|
স্বাভাবিকের কম | ১৮.৫ এর কম | কম | ১৮.৫ এর কম | মোটামুটি |
স্বাভাবিক সীমা | ১৮.৫-২২.৯ | মোটামুটি | ১৮.৫-২২.৯ | বর্ধিত |
ওজনাধিক্য | ২৩-২৪.৯ | বর্ধিত | ২৩-২৪.৯ | মোটামুটি বেশি |
মোটা (শ্রেনী ১) | ২৫-২৯.৯ | মোটামুটি বেশি | ২৫-২৯.৯ | মারাত্মক |
মোটা (শ্রেনী ২) | ৩০ বা ৩০-এর বেশি | মারাত্মক | ৩০ বা ৩০-এর বেশি | অত্যন্ত মারাত্মক |
যে সকল ফল খেয়ে দ্রুত ওজন কমাবেন
আমরা অনেকেই স্বাস্থ্য ঠিক রাখা ও ওজন কমানোর বিষয় নিয়ে চিন্তিত থাকি। কোন ফল
খাওয়া যাবে, কোন সবজি খাবো, কোন ফল খেলে চর্বি কমাতে সাহায্য করবে ইত্যাদি
বিষয় নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাকি। শরীরের সর্বপ্রথম সবার চর্বি জমে পেটে, আবার
সবার শেষে পেটের চর্বি কমে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যদি প্রথম থেকে স্বাস্থ্যের
প্রতি সতর্কতা অবলম্বন করি তাহলে আমাদের দেহে কখনো চর্বি জমবে না ও
সুস্বাস্থ্যর অধিকারী হবো। অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে কিছু ফল রয়েছে যেগুলো তো
উচ্চমাত্রার আঁশ ও এনজাইম রয়েছে, এগুলো আমাদের পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ
এই সকল ফল খেয়ে আপনার অতিরিক্ত চর্বি ঝরিয়ে নিজের দেহকে আকর্ষণীয় করুন। আমাদের
পুরো পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের ফল পাওয়া যায়, এগুলোর কোন বলিও একে অপরের থেকে
আলাদা আলাদা। এ সকল ফল যেমন আপনার দেহ সুস্থ রাখবে তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও
বৃদ্ধি করবে। এই ফলগুলোতে রয়েছে ক্যালোরি, আবার কোনটাতে রয়েছে প্রোটিন, আবার
কোনোটিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যেমনঃ
কমলালেবুঃ কমলালেবু হল এমন একটি ফল যেটিতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং প্রচুর
পরিমাণে ক্যালরি। কমল লেবু খেলে শরীরের ক্ষতিকর ক্যালরি থেকে মুক্ত থাকা যায় এবং
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি ওজন কমাতে মুহূর্তগুলো ভূমিকা পালন করে
পেয়ারাঃ ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ফল রয়েছে তার মধ্যে পেঁপে অন্যতম এবং
সহজলভ্য। পেঁপেতে অনেক কম ফ্যাট রয়েছে। পেঁপেতে যে এনজাইম রয়েছে এটির আমাদের
হজমে সাহায্য করে। পেঁপে যেমন শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে শক্তি যোগায় অপরদিকে
দ্রুত ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
পেঁপেঃ দ্রুত ওজন কমানোর উপায় নিয়ে চিন্তা করলে বিভিন্ন ফল রয়েছে
তার মধ্যে পেঁপে অন্যতম এবং সহজলভ্য। পেঁপেতে অনেক কম ফ্যাট রয়েছে। পেঁপেতে যে
এনজাইম রয়েছে এটির আমাদের হজমে সাহায্য করে। পেঁপে যেমন শরীর সুস্থ রাখতে
সাহায্য করে শক্তি যোগায় অপরদিকে দ্রুত ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
মূল কথাঃ দ্রুত ওজন কমানোর উপায় ও ডায়েট র্চাট
প্রত্যেক ব্যক্তির জীবন সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখার জন্য অবশ্যই নিজের সুস্বাস্থ্য
নিয়ে চিন্তা করা কাম্য। অতিরিক্ত মেদ ভুরি বা চর্বি দেহে জমা হলে শরীরের বিভিন্ন
ধরনের রোগ সৃষ্টি হয়। এই কারণে প্রত্যেক ব্যক্তির নিজের স্বাস্থ্য দিকে খেয়াল
করা খুবই জরুরী। নিজের বি এম আয় অনুযায়ী ওজন ঠিক রাখতে হবে তাহলে আমরা সুস্থ
দেহের অধিকারী হবো। ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি হচ্ছে নিয়মিত, যেখানে সময় অধৈর্য
দুটোই প্রয়োজন হয়।
আমাদের দৈনন্দিন রুটিনের পরিবর্তন ঘটাতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, খাদ্য
অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে, জীবন ধারার, দ্রুত ওজন কমানোর উপায় ও ডায়েট
চার্ট পরিবর্তন ঘটাতে হবে। আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরে ধীরে ধীরে নিজেকে পরিবর্তন
করতে হবে এবং নিজের প্রতি সবসময় সদয় থাকতে হবে। তবে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল
পাবেন এবং ওজন কমিয়ে যেমন সুস্বাস্থ্যর অধিকারী হবেন তেমনি নিজেকে আকর্ষণীয় করে
তুলতে পারবেন।
নোন ফ্যাক্ট ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url