কোটি টাকা আয় করার সহজ ও কার্যকরী উপায়


কোটি টাকা ইনকাম করা এখন আর কল্পনা নয়। কেননা বর্তমান বিশ্ব হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট কেন্দ্রিক। প্রায় সবকিছুই এখন হাতের কাছে চলে এসেছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তাই ঘরে বসে কোটি টাকা উপার্জন করা সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।তবে অনলাইন থেকে উপার্জনের ক্ষেত্রে আপনাকে,


আপনার উদ্দেশ্য ও ডেডিকেশন ধরে রাখতে হবে। আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে কাজ আপনি শুরু করতেছেন সে কাজে আপনার দক্ষতা কেমন। শুধু দক্ষতা ব্যবহার করে কাজ শুরু করা যাবে এমন কাজের পাশাপাশি ইনভেস্ট করে টাকা ইনকাম করা যাই এমন কাজে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।

পেজ সূচিপত্রঃ কোটি টাকা আয় করার উপায়

অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের উপায়

আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে সবাই অনলাইন প্লাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে যুক্ত আছেন, আর এই পথ সুগম করেছে অনলাইন। অনলাইনের মাধ্যমে আপনি নিজের ঘরে বসেই আয় করার সুযোগ পাচ্ছিন। যদি আপনি কোন চাকরি করতেন তাহলে কাজের জন্য আপনারে বাইরে যেতে হতো।

কিন্তু অনলাইনে কাজের মাধ্যমে আপনার সকল কাজ অনলাইনে হয়ে থাকে,  আপনার কম্পিউটার, ল্যাপটপ অথবা স্মার্ট ফোন মাধ্যমে। অনলাইনে আপনার কাজের স্বাধীনতা রয়েছে , নিজের সময় অনুযায়ী ঘরে বসেই অনলাইনে চাকরি করবেন। এবং সেই চাকরি মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করবেন।

তবে আপনার মনে প্রশ্ন জানতে পারে অনলাইন কি আপনি অনলাইন করবেন? আপনি আসলে অনলাইন থেকে কিভাবে ইনকাম করতে পারেন, এইসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।বর্তমানে টাকা আয় করার জন্য অনেকে অনলাইন প্লাটফর্মকে বেছে নিয়েছে এবং এটি দিন দিন বিশাল আকার ধারণ করছে ও সমাজের বেকার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করছে।

মোবাইল দিয়ে যারা মূলত আয় করতে চান তাদের জন্য অনলাইন থেকে আয় করার অন্যতম একটি উপায় হল সার্ভে জব করা। সার্ভের এই কাজটি আপনি মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ দিয়েও করতে পারেন। এবং এই কাজ করে অনলাইন থেকে টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

সার্ভের কাজটি মূলত এমন বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানী রয়েছে তাদের পণ্য বিভিন্ন প্রশ্ন করা হবে এবং আপনি ঘরে বসেই সেইসব প্রশ্নের উত্তরগুলো দিবেন। আর এইসব প্রশ্নের উত্তর প্রদান তারা আপনাকে টাকা প্রদান করবেন। এইভাবে মাত্র একটি স্মার্ট ফোন দিয়ে সার্ভে জব  করে টাকা ইনকাম করতে পারবে।

বর্তমানে অনলাইনে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনকামের জায়গা হলো ডাটা এন্ট্রি। টোয়েন্টি কাজটি আপনি ফোন, ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার দিয়ে করতে পারেন। ঘরে বসে অনলাইন ওয়েবসাইট বা প্ল্যাটফর্ম  এর মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি কাজ করা যায়। কিছু বছর পেছনে দেখলে আমরা জানতে পারবো ডাটা এন্ট্রি কাজ করতে হলে আমাদের ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার থাকতে হতো অবশ্যই।

বর্তমানে প্রযুক্তি উন্নতির ফলে আমরা একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে অতি সহজে ডাটা এন্ট্রি কাজটি করতে পারি।চলুন জেনে নি, কি উপায় ডাটা এন্ট্রি কাজ করতে পারি। যেমনঃ ক্যাপচার পূরণ, ট্রান্সক্রিপশন, কপি পেস্ট, ডাটা কালেকশন ইত্যাদি

কপি পেস্টঃ ডাটা এন্ট্রি কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ ও কম সময়ে করা যায় এমন একটি কাজ হলো কপি পেস্ট করা। এ ধরনের কাজের জন্য কোন নির্দিষ্ট ডাটা গুলোকে এতক্ষণ থেকে অন্য স্থানে ট্রান্সফার বা স্থানান্তর করতে হয়। বিভিন্ন ধরনের এবং ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে বিভিন্ন অক্ষর,লেখা,হিসাব ইত্যাদি কপি করতে কপি পেস্টের মত ছোট কাজের জন্য বায়ার আপনাকে অর্থ প্রদান করে থাকে।

ডাটা কালেকশনঃ ডাটা কালেকশনের প্রধান কাজ হল বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা এছাড়া তথ্য পরীক্ষা করা ডেটা বেসেকরা এবং একটি ডাটা মডেল তৈরি করা। ডাটা কালেক্টরের কাজ হলো বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা, তথ্য যাচাই করে তা বিভিন্ন কাজে উপযোগী করে তোলা, সংরক্ষিত তথ্য সঠিক নাকি ভুল রয়েছে নিশ্চিত করা।
আরো পড়ুনঃ
একজন ডাটা কালেক্টর হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই মাইক্রোসফট অফিস এক্সেল ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে, বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে সঠিক গবেষণা করার দক্ষত থাকতে হবে, উন্নত কমিউনিকেশন স্কিলস এর জন্য ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা থাকতে হবে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আগ্রহ ও সাধারণ জ্ঞান থাকতে হবে। একজন ডাটা কালেক্টরের গুরুত্ব বিশ্বের সকল প্রান্তে রয়েছে। তাই এই কাজের সুযোগ প্রচুর ও ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল।

মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে কোটি টাকা আয়ের উপায়

আপনাকে প্রথমত জানতে হবে কোথায় আপনি সার্ভিস প্রদান করে টাকা আয় করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে জানতে হবে কোন ধরনের সার্ভিস আপনি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে সেবা প্রধান করতে পারবেন। বর্তমান আধুনিক বিশ্ব প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠেছে যার ফলে অনলাইনে এক বিশাল মার্কেটপ্লেস গড়ে উঠেছে।

অনলাইন থেকে কোটি টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং প্রধান ভূমিকা রাখছে। আপনার হাতে থাকা ডিভাইসটি অথবা কম্পিউটার,ল্যাপটপ থাকলে থাকলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে পা রাখতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিংকে আরো সহজ ও হাতের নাগালে নিয়ে আসার জন্য অনলাইনে অনেক মার্কেটপ্লেসের ব্যবস্থা রয়েছে তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য হলোঃ ফাইবার,আপ ওয়ার্ক,পিপল পার আওয়ার, ফ্রিল্যান্সিং ডট কম ইত্যাদি।

এসব মার্কেটপ্লেসের আপনি আপনার কাজের দাম ঘন্টা হিসাবে আবার গিগ হিসাবে ও নির্ধারণ করতে পারবেন। যেকোনো প্রজেক্টে কাজ করবার পূর্বে বায়ার সকল সার্ভিস প্রদান করে তবেই আপনার কাজ নিশ্চিত হবে। ফ্রিল্যান্সিং কাজের এইসব সার্ভিসগুলো আপনি ঘরে বসেই প্রদান করতে পারবেন। বিভিন্ন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার উপার্জন করা আয় আনতে পারবেন।

মানুষ শত ধরে ফ্রিল্যান্সিং করছে উদাহরণ স্বরূপ একজন বিশ্বচালক চাইলে যাত্রী উঠাতে পারেন ইচ্ছে করলে না উঠাতে পারেন। ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকে যার ফলে নিজ স্বাধীন মত কাজ করতে পারে আবার নাও করতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ হল এমন যে, আপনি একজন শিক্ষক এখন আপনি একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পেলেন কোন এক কোচিং সেন্টারে শিক্ষক প্রয়োজন,এমন সময় আপনি একটি শিক্ষকের চাকরি খুঁজতেছেন এমন একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পান। আপনাকে সেই কোচিং সেন্টার নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থের জন্য কাজটি করতে বলতেছে।

এখনে শিক্ষকতা পেশার চাকরি প্রয়োজন ছিল সে হলো ফ্রিল্যান্সার, আর কোচিং সেন্টার হলো ক্লাইন বা বায়ার বিজ্ঞাপন হলো মার্কেটপ্লেস। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আপনার কাজের জ্ঞান অভিজ্ঞতা দক্ষতা অনলাইনে প্রচার বা বাজারজাত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনলাইনে বিভিন্ন সাইটে ক্লাইন্ট বায়ার বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সার খুঁজেন।

ফ্রিল্যান্সাররা নতুন চাকরি জন্য অনলাইন সাইটগুলি ও বিভিন্ন মার্কেট প্লেস ব্যবহার করে থাকে।
ফ্রিল্যান্সিং বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেমন:মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট,ব্লক তৈরী,লোগো ডিজাইনার,ভিডিও এডিটর,ডাটা এন্ট্রি,লিড জেনারেশন আরো অনেক কাজ রয়েছে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে কারণ সকল আপনি তো প্রয়োজনে পণ্য  অনলাইনে ক্রয় বিক্রয়।

কোম্পানিগুলো তাদের পাবলিসিটি ও তাদের পণ্য এবং  কোম্পানিকে জনগণের সামনে উপস্থাপন করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন: গুগল, ফেসবুক, instagram ইত্যাদি ব্যবহার করে তাদের পাবলিসিটি করছে। এর জন্য কোম্পানিগুলোর প্রয়োজন হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার। তাই ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করে কোটি টাকা আয় করা সম্ভব।

ইউটিউব থেকে টাকা আয়ের উপায়

ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করাকে অনেকে  প্রফেশন হিসেবে বেছে নিয়েছে। আপনিও যদি ইউটিউবে কনটেন্ট ক্রিয়েশন কে নিজের প্রফেশন হিসেবে বানাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আগে বেছে নিতে হবে কোন বিষয় আপনি কাজ করতে চান। আপনার তৈরি করা কন্টেন্ট আপনার নিজের কাছে ক্লিয়ার করার পর সেই বিষয়ে ভিডিও তৈরি করুন।

আপনার কনটেন্ট যদি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর হয় তাহলে দর্শক আপনার ভিডিও গুলো দেখবে ও আরো দেখার আগ্রহ প্রকাশ করবে।ইউটিউব থেকে আয় করার আপনার কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে যেমনঃ

ভিডিও কোয়ালিটিঃ কনটেন্ট তৈরি-কনটেন্ট গুলো অবশ্যই নিজের এবং হতে হবে তাহলে দর্শকরা আগ্রহ প্রকাশ করবে। ভিডিও কোয়ালিটি-কনটেন্টের ভিডিও গুলো অবশ্যই কোয়ালিটি সম্পন্ন হতে হবে, ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন ভিডিও তৈরির জন্য অবশ্যই ভালো ক্যামেরা, আলো, মাইক্রোফোন থাকতে হবে।

চ্যানেল মনিটাইজেশনঃ চ্যানেল মনিটাইজেশন ৩৫৬ দিনের ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম হলে আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজেশনের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে। মনিটাইজেশন হলে আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন আসবে সেগুলো ক্লিক করে সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন দেখলে তবে ইউটিউব থেকে আয় হবে।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রথম অবস্থায় বেশি টাকা আয় করা যায় না। তবে ধৈর্য ধরতে হবে কোন কিছুই একবারে অর্জন করা সম্ভব হয় না। কোন কিছু অর্জন করতে হলে অনেকদিন তার পিছে পরিশ্রম করতে হয় তাই ধৈর্য ধরে প্রতিদিন নিজের তৈরি ভিডিও প্রকাশ করবেন।

আপনি ইউটিউব চ্যানেলের পাশাপাশি আরো বিভিন্ন জায়গা থেকে নিজের ইউটিউব চ্যানেলকে কাজে লাগিয়ে ডোনেশন থেকে, আবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কোর্স বিক্রি করে আবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্পন্সর করে টাকা উপার্জন করতে পারেন।যেমনঃ রেস্টুরেন্ট, হোটেল, হসপিটাল,ইলেকট্রনিক সপ ও বিভিন্ন ব্র্যান্ড তাদের গ্রাহকের কাছে প্রচার করার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করে ইউটিউবে নিজেদের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে।

ফেসবুক মার্কেটিং থেকে টাকা আয়ের উপায়

বর্তমানে যে সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে সে সব গুলোর মধ্য ফেসবুক সব থেকে জন প্রিয় হয়ে উঠেছে।ফেসবুক ব্যবহারকারী সংখ্যা বর্তমানে ১০ বিলিয়নেরও বেশি এছাড়াও ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ফেসবুক তার গ্রাহকদের ধরে রাখার জন্য আকর্ষণ সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের এক্টিভিটি ও আয়ের উৎস করে দিয়েছে। দিন দিন ফেসবুক থেকে আয় করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে।

ফেসবুক থেকে সহজে আয় করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে দক্ষ ও পরিশ্রমী হতে হবে। তাহলে খুব সহজেই ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ফেসবুক তার গ্রাহকদের নতুন নতুন ও চমৎকার অর্থ উপার্জনের মাধ্যম তৈরি করেছে যদিও ওইসব মাধ্যমে যারা আজ সফল হয়েছে তাদের বিপুল পরিমাণ ফলোয়ার রয়েছে তারা মূলত কেউ উদ্যোক্তা কেউ বা মেন্টর হিসেবে নতুন দের আমন্ত্রণ করে থাকেন।

আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব কিভাবে ও কি উপায়ে আপনি ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। যেমনঃ

কনটেন্ট নির্মাণের মাধ্যমেঃ বর্তমানে ফেসবুকে কন্টেন্ট ক্রিয়েটিং করে খুব সহজে অর্থ উপার্জন করছে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা। তারা তাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজ, ঘুরতে যাওয়া, সাজগোজ আবার রূপচর্চা বিষয়ক কনটেন্ট তৈরি করে।

এবং ওইগুলো নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে অথবা ফেসবুক পেজে আপলোড করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছে। শুধু কনটেন্ট তৈরি করে আপনি মাসে ৫০০ ডলার বা তার চেয়েও বেশি আয় করতে পারবেন কিন্তু প্রতি দিন কনটেন্ট কেয়ার করতে হবে।

ব্লগিংঃ আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে সেখানে আপনি বিভিন্ন তথ্য প্রচার করতে পারবেন এবং সেই তথ্যগুলো আপনার ফেসবুক পেইজে অথবা আপনার প্রোফাইলে মাধ্যমে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করতে পারবেন। আপনারা জানেন ওয়েবসাইটের ইনকাম আসে ট্রাফিক থেকে এবং ফেসবুক থেকে বিপুল পরিমাণ ট্রাফিক সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ
আপনারা হয়তো দেখেছেন অনেক বড় বড় ওয়েবসাইট যেমন প্রথম আলো, টেন মিনিট স্কুল চ্যানেল 24 সময় টিভি ইত্যাদি বড় বড় ওয়েবসাইট নিজেদের প্রচারকৃত সংবাদ ফেসবুক পেইজে আপলোড করে থাকেন। ফলে যারা ওই তথ্য সম্পর্কে জানতো না ফেসবুকের মাধ্যমে তারা ওয়েবসাইটে ভেতরে গিয়ে সেই তথ্যগুলো দেখে ফলে তাদের ট্রাফিক বৃদ্ধি পায় ও বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে থাকে।

ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রি করেঃ আমরা যারা ফেসবুক ব্যবহার করি এবং যারা নাও করি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আসবাবপত্র, খাবার, কাপড়, রূপচর্চা বিষয়ক কসমেটিক্স ইত্যাদি প্রয়োজন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে।

এইসব পণ্য বর্তমানে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে সেলারা তাদের পণ্যের বিভিন্ন এড বিজ্ঞাপন দেখিয়ে গ্রাহকদের আকর্ষণ করে ফলে এখান থেকে আপনার পণ্য বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

র্কোস ভিডিও সেল করেঃ বর্তমানে ফেসবুক একটি মার্কেটপ্লেসের পাশাপাশি শিক্ষামূলক মাধ্যমে হয়ে উঠেছে এখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে বিভিন্ন কোর্স বিক্রয় করতে পারবেন আবার শিক্ষামূলক কোর্স বিক্রয় করতে পারবেন।

তাই ধৈর্য ধরে ফেসবুকে বিভিন্ন নতুন নতুন আকর্ষণীয় দিকগুলো উপভোগের পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করে স্বাবলম্বী হবেন। প্রথম অবস্থায় এখান থেকে অর্থ উপার্জন করা কষ্টসাধ্য হবে কিন্তু ধৈর্য ধরে এখানে প্রতিদিন কাজ করতে হবে তবে আপনি সাফল্য দেখা পাবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করবে, সে সম্পর্কে জানার আগে এফিলেট মার্কেটিং কি? সেই বিষয়ে ধারণা থাকা জরুরী। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা। অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কের রেফারেন্স এর মাধ্যমে বহিরাগত কোন পণ্য বিক্রি হলে বিক্রেতা সেই মাধ্যম "ওয়েবসাইট বা অ্যাকাউন্ট" লাভের একটি অংশ কমিশন হিসেবে দিয়ে থাকে।

এ মার্কেটিং ব্যবস্থা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছেন, ফলে অ্যাফিলেট মার্কেটার রা সাফল্য দেখা পাচ্ছে। অ্যাফিলেট মার্কেটিং এ ধৈর্য সহকারে পরিশ্রম করতে হবে তবে আপনি সাফল্য দেখা পাবেন।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে। ওইসব অ্যাফিলিয়েট সাইট গুলোতে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা পণ্য থাকে সেখানে ভালো পণ্য ও থাকে কোন হলে গ্রাহক প্রেমের শিকার হয়।

এইজন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সময় সতর্ক থাকতে হবে স্ক্যামের শিকার  হচ্ছেন নাহ তো বা আপনার মাধ্যমে অন্য কেউ স্ক্যামের শিকার  হচ্ছেন নাহ তো।অনলাইনে বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট রয়েছে এখানে আপনি একাউন্ট খুলে খুব সহজেই আপনার পছন্দের মার্কেটিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ বুঝতে হলে আপনাকে অবশ্যই জিনিসের উপর নজর রাখতে হবে, দক্ষতা অর্জন করতে হবে, উপস্থিত বুদ্ধি থাকতে হবে।যথাঃ 
  • বিক্রেতা 
  • কাস্টমার 
  • মার্কেটপ্লেস 
  • মার্কেটার বা মাধ্যম
বিক্রেতা কাস্টমার যে সাইটের মাধ্যমে আলোচনা করে সেটি হলো মার্কেটপ্লেস আর এই মার্কেটপ্লেসটি যার মাধ্যমে কাস্টমার ও বিক্রেতা দের নিয়ে আসে সেটি হলো মাধ্যম বা মার্কেটার। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবেন? যদি আপনি কোন কোম্পানিতে চাকরি করেন তাহলে আপনার পণ্য বিক্রি করার জন্য ঘরের বাইরে যেতে হবে।

অপরদিকে এফিলেট মার্কেটিং আপনি ঘরে বসে করতে পারবেন এবং বিশ্বের যে কোন প্রান্তের যে কোন কোম্পানি পণ্য মার্কেটিং করতে পারবেন। এখানে আপনার ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আবেগে কিছু প্রাথমিক ধাপ রয়েছে এসব পূরণ করতে হবে। যেমনঃ 
  • অডিয়েন্স তৈরি করা 
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা 
  • নির্দিষ্ট অডিয়েন্স বা কাস্টমার  টার্গেট করা
অডিয়েন্স তৈরিঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে পণ্য কিনতে কাস্টমারদের সাহায্য করা হয়ে থাকে। এজন্য আপনি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নিজের পণ্যর প্রচার করতে পারেন যেমন ফেসবুক পেজ ফেসবুক প্রোফাইল ওয়েবসাইট ইউটিউব। ফলে এখান থেকে আপনার পণ্য কেনার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করাঃ বর্তমান সময়ে মানুষ অনেক পরিমাণ সময় সোশ্যাল মিডিয়া বের করে থাকে। আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ থাকে তাহলে সেখানে আপনি আপনার অ্যাফিলেট লিংকগুলো প্রমোট করতে পারেন। ফলে আপনার লিংক এর মাধ্যমে কোন কাস্টমার যদি কিছু কিনে থাকে তাহলে আপনি তার পারসেন্টেন্স পাবেন। ফলে এইভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সাফল্য হার বেড়ে যায়।

অডিয়েন্স বা কাস্টমার  টার্গেট করাঃ আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য বেশি ও বিদেশী কাস্টমারদের টার্গেট করতে পারেন। কিন্তু প্রথম অবস্থায় আপনার বাংলাদেশের মানুষকে টার্গেট করে এগিয়ে যেতে  হবে। 

কারণ বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই মোটামুটি ধারণা রয়েছে। দরাজ এর মতো ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটা করতে বেশি আগ্রহী হয়ে থাকে। ফলে বাংলাদেশের মানুষকে টার্গেট করে এগিয়ে গেলে। সাফল্য দ্রুত পাওয়া সম্ভব।

প্রতিবেদন/কনটেন্ট রাইটিং করে আয় করুন

বর্তমান সময়ে কনটেন্ট রাইটিং অন্যতম পেশা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছে। কনটেন্ট রাইটিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অন্য কোম্পানি আইটি ফার্ম ও ইন্ডাস্ট্রি নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য খুবই যত্নশীল। আরে অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য ইন্ডাস্ট্রি কোম্পানি আইটি ফার্ম সকলের অনলাইন মুখি হচ্ছে।

ঐসব কোম্পানি নিজেদের অস্তিত্ব বোঝায় রাখার জন্য দরকার প্রয়োজনীয় কনটেন্ট যা তাদের গুরুত্ব ও বিষয়বস্তুকে তাদের কাছে তুলে ধরবে। তো এবার বাস্তব উদাহরণ আসা যাক আপনি এখন যেই ব্লগটি পড়তেছেন এটাও এক ধরনের কনটেন্ট।

 আপনি ইচ্ছা করলে কনটেন্ট রাইটার হয়ে ওইসব কোম্পানিতে চাকরি করতে পারেন আবার নিজের ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইনে  ট্রাফিক নিয়ে আসার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি কোম্পানিতে নিজের অভিজ্ঞতা দক্ষতা ও জ্ঞান ব্যয় করে চাকরি করতে চান,
আরো পড়ুনঃ
তাহলে হয়তো বা আপনার সেলারি হবে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা এবং এখানে আপনার কোন স্বাধীনতা থাকে না। অপরদিকে আপনি যদি ব্লক ওয়েবসাইটে নিজের কাজ করেন তাহলে আপনার একদিকে ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকবে আবার আর্থিক সীমাবদ্ধতা তাও থাকবে না এখানে আপনি আপনার নিজের মালিক।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করে টাকা ইনকাম

আমাদের কাছে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন উপায় রয়েছে। অন্যান্য সবগুলো অনলাইন থেকে টাকা আয এর মধ্যে সব থেকে লাভজনক উপায় হচ্ছে মোবাইল অ্যাপস তৈরি করা। বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী দিন দিন বেড়ে চলেছে ও তাদের ফোনে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অ্যাপস রয়েছে এবং তা ব্যবহার করছে। তাই মোবাইল অ্যাপস তৈরি করে লাভজনক একটি উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জীবনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করি। যখন কোন প্রয়োজনে আমরা অ্যাপস ব্যবহার করি তখন হঠাৎ কিছু বিজ্ঞাপন স্কিনে ভেসে ওঠে। মূলত ওইসব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অ্যাপসের মালিক টাকা আয় করে থাকে। যত বেশি মোবাইল ব্যবহারকারী হবে অ্যাপসের মালিকের ইনকাম কত বেশি হবে।

অনেক সহজ পদ্ধতিতে বিনামূল্যে আপনি অ্যাপস তৈরি করতে পারবেন। আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে যেমন ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ করে বানাতে পারেন ঠিক তেমনি, অনলাইনে বিভিন্ন সাইট রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে ও বিনামূল্যে এপ্স তৈরি করতে পারবেন। যেমনঃ Android app making, app developer  ইত্যাদি ডেভলপারের মাধ্যমে আপনি ফ্রিতে অ্যাপস বানাতে পারবেন।

আপনার এপ্সটি তৈরি হয়ে গেলে, এই অ্যাপটি প্লে স্টোরে পাবলিশ করুন। কারণ বিশ্বের সবার কাছে পরিচিত অ্যাপস ডাউনলোডের জন্য প্লে স্টোর একটি অন্যতম মাধ্যম এবং এটি সকল স্মার্টফোনে রয়েছে। তাই অ্যাপসটি প্লে স্টোরে পাবলিশ করা অত্যন্ত জরুরী। আপনার অ্যাপসে কেমন বিজ্ঞাপন দেখাবেন ও কিভাবে বিজ্ঞাপন সেট করবেন এটার জন্য অ্যাডভার্টাইজমেন্টস প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে পারেন।

বিজ্ঞাপনটি বসানোর জন্য আপনাকে google admob একাউন্ট তৈরি করতে হবে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একাউন্টটি তৈরি হয়ে গেলে সেখানে আপনি বিজ্ঞাপনটি বসাতে পারবেন। পদ্ধতি ব্যবহার করেন অ্যাপ  ডেভলপাররা টাকা উপার্জন  করে থাকে। আপনি আপনার অ্যাপসের গ্রাহক কে কিছু বিশেষ সুবিধার দেওয়ার জন্য অ্যাপসটি পেইড অপশন চালু করতে পারেন।

সবাই মনে করেন যে অ্যাপস ডাউনলোড করলেই অ্যাপসের মালিক টাকা পাই। কিন্তু এটি পুরোপুরি ভুল ধারণা আপনি যদি দশ হাজার বার অ্যাপস ডাউনলোড করেন তবুও অ্যাপসের মালিক একটি টাকাও পাবে না। অ্যাপস এর মালিকের ইনকামের মূল উৎস আচ্ছা বিজ্ঞাপন।

আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ওয়েবসাইট যেভাবে ব্যবহার করি ঠিক একই ভাবে অ্যাপস এর মাধ্যমে এফ এলিট মার্কেটিং করে টাকা আয় করা সম্ভব। আপনি আপনার অ্যাপ্সের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করতে পারেন ফলে ওই কোম্পানি আপনাকে নগদ অর্থ প্রদান করবে।

বিভিন্ন কোম্পানি তাদের স্পন্সরের ও প্রচারের জন্য প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে। আপনার অ্যাপসের গ্রাহক বা ইউজার প্রচুর হলে আপনি স্পন্সারশীপের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। এভাবে আপনি খুব সহজে অ্যাপস তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা করতে পারবেন।

ট্রাভেল এজেন্ট বা ট্রাভেল প্ল্যানার হিসেবে কাজ করুন

মানুষ প্রতিনিয়ত ভ্রমণ পিপাসু হয়ে উঠছে। এর ফলে দেশের ও বিদেশেও মানুষ ভ্রমণ করছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপনি একটি ট্রাভেল এজেন্ট ও ট্রুর প্ল্যানার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারেন। এখানে ক্যারিয়ার বানানোর দুটি পথ রয়েছে একটি ট্রাভেল এজেন্সি খোলা অথবা এজেন্সির ট্রাভেল অপারেটর বা গাইড হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন।
 
ট্রাভেল এজেন্সি অথবা গাইড যে পেশায় নির্বাচন করুন না কেন দুটি ক্ষেত্রেই ক্লাইন্টের ট্রাভেল প্ল্যানিং এর পাশাপাশি আপনি নিজেও বিভিন্ন দেশ ও নতুন নতুন  জায়গা ঘুরে বেড়াতে পারবেন।

তবে ক্যারিয়ার গঠনের জন্য তাড়াহুড়ো করে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। আপনি যে কাজ করতে চাচ্ছেন তাতে কতটুকু আপনার ইচ্ছা রয়েছে তা দেখতে হবে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জরুরী বিষয়গুলো ভেবে জরুরী।

 ট্র্যাভেল এজেন্ট এর কাজ কেমনঃ ট্রাভেল এজেন্ট দের কাজ করার একটু বড় অংশ ঘোরাঘুরি, শুধু এটি তাদের একমাত্র যোগ্যতা নয়। তাই ট্রাভেল প্ল্যানার ক্যারিয়ার শুরু করার পূর্বে আপনার ভালো করে ভেবে নেয়া উচিত আপনি এটি করতে চান কি নাহ। এই ক্যারিয়ারে আপনার সফল হতে হলে আপনার চমৎকার কিছু দক্ষতা প্রয়োজন হবে।

পাশাপাশি আপনার ক্লায়েন্টের বা আপনার ভ্রমণ সঙ্গীর চাহিদা, প্রয়োজন ও তার ইচ্ছার সাথে মিল আছে কিনা তা বুঝার ক্ষমতা থাকতে হবে। ভ্রমণ সঙ্গীর সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ ও আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজের মতামত প্রকাশ করতে হবে।

এই কাজটি শুরু করার পূর্বে, আপনাকে অবশ্যই পৃথিবীতে যতগুলো পর্যটন কেন্দ্র ও ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে সে সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকতে হবে। অনেকেই একটি নির্দিষ্ট জায়গা বা থানকে কেন্দ্র করে কাজ করে থাকেন। প্রথম অবস্থায় আপনি বাংলাদেশ কোন একটি নির্দিষ্ট জায়গা। যেমন সাজেক,
কক্সবাজার এবং সিলেট এইসব জায়গা নিয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।

ধৈর্য্যঃ বিভিন্ন সার্ভিস এজেন্টদের মতো ট্রাভেল এজেন্টদেরও অনেক ধৈর্যশীল হতে হয়। বিভিন্ন দিন বিভিন্ন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষের সাথে পরিচিত হতে হবে। কারো মানসিকতা আপনার ভালো লাগবে আবার কারো বিরক্ত লাগবে পছন্দ হবে না।

এটা স্বাভাবিক কিন্তু সেখানে ধরল না হারিয়ে ধৈর্য ধারণ করে তাদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করতে হবে ও তাদের মত করে তাদের সময় দিতে হবে এবং তাদের ভ্রমণকে সুন্দর করে তুলতে হবে। কারণ মানুষ তার ব্যস্ত জীবনে খুব অল্প সময়ে নিজের জন্য বের করে ভ্রমণ করতে বের হবে।

বাংলাদেশে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি রয়েছে যারা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ও দক্ষ ট্রাভেল গাইড চাকরি দিয়ে থাকেন। দিন দিন তবে এজেন্টের চাহিদা বাড়ছে। ফলে এখানে ক্যারিয়ার গঠন করার জন্য এটি সঠিক সময়ে।

মূল কথাঃ কোটি টাকা আয় করার উপায়

আপনি তো এখন এভাবে টাকা আয় করার বিভিন্ন উপায় শিখে গেলেন। এখন পুরো সিদ্ধান্তটা আপনার আপনি কোন উপায়টি নিজের ক্যারিয়ারের সঠিক মনে করবেন ও নিজে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করবেন।

আপনি যদি সঠিকভাবে নিজের ক্যারিয়ার বাছায় করেন তাহলে খুব সহজে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে আমার পক্ষ থেকে উপদেশ একটি পাবেন, কখনো হার মানবেন নাহ৷ ও চেষ্টা করা ছাড়বেন না। কারণ যে সফল না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা করে একদিন সফলতা কাছে ধরা দেয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নোন ফ্যাক্ট ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url