কি ভাবে পাওয়া যায় ফুল ফ্রি স্কলারশিপ
কি ভাবে পাওয়া যায় ফুল ফ্রি স্কলারশিপ? এটা নিয়ে অনেক এর মনে অনেক প্রশ্ন
থাকতে পারে। স্কলারশিপ শব্দ টা শুনলে অনেক জটিল মনে হতে পারে। HSC পরীক্ষার পর
থেকে সাধারন শিক্ষার্থী দের মধ্য এক প্রকার উচ্চ শিক্ষা অর্জনের প্রবনতা বেশি
থাকে। নতুন পরিবেশে, উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, আন্তজাতিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থা
নিজেকে গড়ে তোলার ওই সকল শিক্ষার্থীদের আরও উজ্জ্বল করে তোলে।

সঠিক পরিকল্পনা এবং যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া খুবি গুরুত্বপূর্ন। এর জন্য চাই সঠিক
দিক নির্দেশনা, আজকে এই ব্লগের মাধ্যমে আপনাদের কাছে অনেক সহজ করে তুলে ধরা হবে
তাই পুরো ব্লগ টি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ কি ভাবে পাওয়া যায় ফুল ফ্রি স্কলারশিপ
বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা
বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছরই শত শত শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য বিভিন্ন দেশে পারি
দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন দেশের জন্য আলাদা আলাদা কিছু নিয়ম রয়েছে। স্কলারশিপ পাওয়া
জন্য যোগ্যতা নিধারন এর বেশ কিছু নিয়ম ও শর্ত আছে। যেমনঃ এক্যাডেমিক ভালো
রেকর্ড, ভাষাগত দক্ষতা (যেমন IELTS বা TOEFL স্কোর) এবং কিছু অর্থনৈতিক দিক
বিচার করা হয়।
আপনার যদি কোনো ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে আপনার স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভবনা বেরে যায়।
যখন স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করবেন, বিভিন্ন প্রোগ্রামের জন্য বিভিন্ন শর্ত থাকে,
তাই ভালো ভাবে আপ্লিকেশন টা ভালো করে পরে নিবেন। আপনার যদি কোনো বিশেষ যোগ্যতা
থাকে বা কোনো বিশেষ কাজে পারদশি হন তাহলে আপনার মূল্যয়ন বেশি হবে।
আরো পড়ুনঃ
স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়াশোনার সুবিধা ও অসুবিধা
উচ্চ শিক্ষা ও উন্নত ক্যারিয়ার গঠনের জন্য প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বহু
শিক্ষার্থী বিভিন্ন দেশ পারি দিয়ে থাকেন। অনেকেই ফ্রি স্কলারশিপ নিয়ে উন্নত জীবন
ও ক্যারিয়ার গঠনের আশায় বিদেশে আসেন, আবার কেউ কেউ নিজের টাকা খরচ আসেন উন্নত
শিক্ষা অর্জনের জন্য। বিদেশে পড়াশোনা ফলে আপনার বাক্তিগত জিবনে, শিক্ষাক্ষেত্রে,
সুন্দর ও সঠিক ক্যারিয়ার গঠনে সুদীর্ঘ ভূমিকা পালন করে থাকবে।
ফ্রি স্কলারশিপ পেয়ে যেসকল শিক্ষার্থীরা বিদেশ গিয়ে থাকেন তাদের বিভিন্ন খরচ থেকে
চিন্তা মক্ত থাকেন, যেমনঃ টিউশন ফি ও জীবনযাত্রার খরচের ব্যাপারে কোনো ভাবনা থাকে
না, অপর দিকে যে সকল শিক্ষার্থীরা নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে বিদেশে পরতে আসে
তাদের টিউশন ফি ও জীবনযাত্রার খরচ নিজে বহন করতে হয়, ফলে তাদের মধ্য আলাদা একটা
আর্থিক চাপ থাকে।
বিদেশে শিক্ষা গ্রহনের ফলে নতুন এক সংস্কৃতি জীবনে নানা অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা
করবে। বিদেশে শিক্ষা গ্রহনের ফলে সব থেকে বড় সুবিধা হলো নতুন একটি সাংস্কৃতিক
জগতে যাত্রা শুরু হবে।
নতুন ভাষা শেখা, বিভিন্ন রীতি মেনে চলার পথ তৈরি হবে এবং নতুন
সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় ইত্যাদি মিলিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত হবে জীবনে
বৈচিত্র্য আসবে ও সহনশীলতা বাড়বে।
উচ্চশিক্ষা লাভে পেশাগত সুযোগ–সুবিধা
বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা লাভের ফলে বৈশ্বিক নানা বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকে, যার ফলে
আপনারা নিজেদের যোগ্যতা আনুযায়ী চাকরির সুযোগ পাবেন। এছাড়াও পড়াশোনা চলাকালিন
বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ তো থাকছেই। পড়াশোনা চলাকালীনই নিজের
ক্য়ারিয়ার কি ভাবে গঠন করবেন তার পুরো সুযোগ।
বিদেশে যে সব নিয়োগ কারী প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে তারা দেখেন প্রার্থীদের,
সবার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতার কেমন, নানা বিষয়ে অভিজ্ঞ, সাংস্কৃতিক
ক্ষেত্রে সচেতন প্রার্থীকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে। স্কলারশিপ
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও স্কলারশিপ আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার হয়। যেমনঃ
- অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ
- সুপারিশ পত্র
- স্টেটমেন্ট অফ পারপাস (SOP)
- ভাষাগত দক্ষতার স্কোর (যেমন IELTS, TOEFL)
আরো পড়ুনঃ
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অবশ্যই আপনার প্রয়োজন হবে পলাশীবা আবেদনের জন্য অবশ্যই
এগুলো সঙ্গে রাখবেন যদি না থাকে অল্প সময়ের মধ্যে যোগাড় করে রাখবেন কারণ
এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কাগজপত্রই নির্ধারণ করবে আপনার কোন প্রোগ্রামের
জন্য যোগ্য। বিভিন্ন প্রোগ্রামের বিভিন্ন শর্ত দিয়ে থাকে এজন্য উপযুক্ত কাগজ
পত্র থাকা খুবই জরুরী।
যে সব দেশ দিচ্ছে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ
শুধু আমাদের দেশ থেকে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার তাদের দেশের মেধাবী
শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান করে বাইরে দেশে শিক্ষা নিতে আগ্রহী করে তোলেন। এই
পদ্ধতি অনেক শিক্ষার্থীদের জন্য খুব ভালো ভূমিকা রাখছে। ফ্রি স্কলারশিপ এর
মাধ্যমে উক্ত শিক্ষার্থীরা যেমন আর্থিক চাপ মুক্ত থাকছে অপরদিকে তারা তাদের
পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছে।
ফ্রি স্কলারশিপে আপনাকে কোন প্রকার অর্থ প্রদান করতে হয় না কর্তৃপক্ষকে। এটি
শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা ও মেধার ভিওিতে প্রদান করা হয়। আর্থিক অসচ্ছল
শিক্ষার্থীদের জন্য এটি শুধু আর্থিক সাহায্য নয় এটি তাদের ক্যারিয়ার গঠনের একটি
বড় সুযোগ। বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে ফ্রি স্কলারশিপ প্রদান করে
থাকে।
এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা দেশগুলো প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ স্কলারশিপ এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের
উচ্চশিক্ষা নিতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নি উক্ত দেশগুলো কোন প্রোগ্রাম কোন
ভিত্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দেয়।
- এশিয়াঃ বর্তমানে অন্যান্য দেশের মতো এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশগুলো উচ্চশিক্ষার জন্য ফ্রি স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। মধ্যে রয়েছে জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর। জাপানে যেমন এমইএক্সটি(mext) স্কলারশিপ প্রোগ্রামটি বিশ্বের সকল প্রান্তে জনপ্রিয়। এই প্রোগ্রামটির মাধ্যমে সম্পূর্ণ উচ্চশিক্ষা বিনামূল্যে পাবেন। চীনে রয়েছে ছি এস ছি(csc) এটি হচ্ছে চীনের সরকারি স্কলারশিপ যা সকল স্তরের শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রযোজ্য। এছাড়াও কোরিয়া ও সিঙ্গাপুর রয়েছে গ্রাজুয়েট ও গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ। যা গবেষণা এবং উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য শীর্ষস্থানীয় স্থানে রয়েছে।
- ইউরোপঃ ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি, ফিনল্যান্ড, সুইডেন তাদের প্রোগ্রাম ভিত্তিক স্কলারশিপ প্রদান করেন। জার্মানি রয়েছে ডিএএডি প্রোগ্রাম যা বিনা মূল্যে শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে সাহায্য করে। ফিনল্যান্ড রয়েছে ফিনিস সরকারি স্কলারশিপ, সুইডেন রয়েছে ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।
- উত্তর আমেরিকাঃ উত্তর আমেরিকার মধ্যে রয়েছে বড় দুটি দেশ যারা প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা প্রদান করে, সেগুলো হলো কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের স্কলারশিপে প্রোগ্রামটি হলো- ফুল ব্রাইড। কানাডাতে রয়েছে ভ্যানিয়ার গ্রাজুয়েট স্কলারশিপ এটি উচ্চশিক্ষার জন্য জনপ্রিয়।
- অস্ট্রেলিয়াঃ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ প্রোগ্রাম, এশিয়া অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম সেরা স্কলারশিপ বলে পরিচিত। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক স্কলারশিপ এএনইউ,সিডনি এর মত উন্নত বিশ্ববিদ্যালয় গুলো প্রদান করেন।
- মধ্যপ্রাচ্যঃ সৌদি আরবের স্কলারশি মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলোতে অনেক খ্যাতি অর্জন করেছে, এরমধ্যে রয়েছে আব্দুল্লাহ স্কলারশিপ। এবং কাতারে বিন খালিফা ইনস্টিটিউট কাতার ইউনিভার্সিটি তে সম্পূর্ণ স্কলারশিপ বিনামূল্য প্রদান করা হয়।
- আফ্রিকাঃ আফ্রিকা দেশ টির দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলে এনআরএফ স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। এবং মিশরে আল আজহার স্কলার্শিপ প্রোগ্রামটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যার ফলে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী দেশ থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন।
আরো পড়ুনঃ
অবশ্যই প্রতিটি স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আবেদন করার পূর্বে ভালো করে স্কলারশিপ
প্রোগ্রামের অর্থ বোঝে ও দেখে পূরণ করবেন একটি ভুলের জন্য আপনার ক্যারিয়ার
গঠনে বাধার সম্মুখীন হতে পারেন।
ফ্রি স্কলারশিপের আবেদন প্রক্রিয়া যে ভাবে করবেন
ফুল ফ্রি স্কলারশিপ প্রক্রিয়ার আবেদন প্রক্রিয়া একটু জটিল প্রকৃতির। আবেদনের
জন্য অবশ্যই সঠিক ধাপ অবলম্বন করতে হবে। তবেই আপনি কাঙ্খিত স্কলারশিপ পেতে
সক্ষম হবেন। নিচে ধাপগুলো বর্ণনা করা হলো।
- সটিক স্কলারশিপ খুঁজে বের করা,অবশ্যই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা উপনির্ভর করে আপনার স্কলারশিপ প্রোগ্রামটি বাছাই করতে হবে। আবার খেয়াল রাখতে হবে উক্ত প্রোগ্রামটি আর্থিক দিক থেকে আপনার জন্য প্রযোজ্য কিনা। আপনাকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তাদের প্রোগ্রাম চেক করতে হবে। কোন নতুন তথ্য যোগ করেছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাটাবেজ পোটাল প্রতি নিহত, চেক করতে হবে।
- স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা ভাষা গত দিক এবং আবেদনকৃত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামগুলোর বিভিন্ন শর্ত থাকে সেগুলো শর্ত পূরণ করা প্রয়োজন। আপনার শিক্ষাগত দিক বা যোগ্যতা যেমন স্নাতক মাস্টার্স সম্পূর্ণ হয়েছে কিনা তা যাচাই করুন। আপনার ভাষা কত দিক iltes বা toefl সম্পূর্ণ করা আছে কিনা এবং সম্পূর্ণ থাকলেও, কেমন স্কোর রয়েছে তা যাচাই করা। আপনাকে অবশ্যই আপনার আর্থিক দিক উল্লেখ করতে হবে।
- আবেদনের জন্য আপনাকে অবশ্যই, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত করতে হবে। যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট বা মার্কশিট, ভাষাগত দক্ষতা সার্টিফিকেট, আপনি কি কারণে যাচ্ছেন তার একটা স্টেটমেন্ট দিতে হবে ও সর্বশেষ আপনাকে একটি সিভি তৈরি করতে হবে।
- স্কলারশিপ এর জন্য আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বা স্কলারশিপ প্রোগ্রামের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর কাছে আপলোড করতে হবে। যদি কোন আবেদন ফ্রি প্রযোজ্য হয় তা পরিশোধ করতে হবে।
- আবেদনের জন্য অবশ্যই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে উক্ত সময়ের মধ্যে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। আলাদা আলাদা স্কলারশিপ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়সীমা আলাদা আলাদা থাকে। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সত্য কথা অবলম্বন করতে হবে। শুধু আবেদন প্রক্রিয়া নয় সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে সকল তথ্য প্রদান করে আবেদন করতে হবে।
- শুধু আবেদন প্রক্রিয়া নয়,উক্ত প্রোগ্রামে সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়া থাকে যার মাধ্যমে আপনার যোগ্যতা ও স্কিল কতটুকু তা পরীক্ষা করা হয়। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন আপনার পরিকল্পনা তাদের সামনে সুষ্ঠু ও পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে হবে। এবং সাক্ষাৎকার বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। আপনার পরপাস বাস স্টেটমেন্ট সুষ্ঠুভাবে তাদের কাছে তুলে ধরতে হবে।
- আবেদনের ফলাফল ঘোষণা পর আপনাকে অবশ্যই দরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রবণতা থাকতে হবে। যে সময়ে ফলাফল ঘোষণা হবে ওই নির্ধারিত সময়ে মেইল চেক করে নিতে হবে। যদি স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন তাহলে প্রোগ্রামের শর্ত গ্রহণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করতে হবে। অপরদিকে যদি স্কলারশিপ না পেয়ে থাকেন তাহলে বিকল্প হিসেবে পরবর্তী প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করবেন ও সঠিক দিতে অবলম্বন করবেন।
শেষ কথাঃ শিক্ষা ক্ষেত্রে স্কলারশিপ পাওয়ার সহজ উপায়
স্কলারশিপ হচ্ছে একটি চমৎকার সুযোগ বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার। অনেক
শিক্ষার্থী আর্থিক সমস্যার জন্য উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারে নাহ। এই ফ্রি
স্কলারশিপ টি শুধু ঐ সকল শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেয় না বরং তাদের
ব্যক্তিগত দক্ষতা ও ক্যারিয়ার গঠনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি
শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সহায়ক ভূমিকা
পালন করবে।
প্রতিটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পরামর্শ থাকবে আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই
ভালোভাবে শিক্ষাগত যোগ্যতা, ভাষাগত দিক,অন্যান্য দক্ষতা সঠিকভাবে অর্জন হবে।
এবং আপনার ওই এই সকল দক্ষতা ও যোগ্যতা উক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে স্পষ্ট করে তুলে
ধরতে হবে। আমার খেয়াল রাখতে হবে যে দেশে যাবেন সে দেশের সাংস্কৃতি ও নিয়ম
শৃঙ্খলা বজায় রেখে আবেদন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিবেন।
স্কলারশিপ শুধু একটি ডিগ্রীর সীমাবদ্ধ নয়, এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক একটি সেতু
বন্ধন গঠন হয়। একে অপরের সাংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা করতে শেখায়। তাই সবসময়
নিজের স্বপ্নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবেন ও সঠিক সুযোগকে কাজে লাগাবেন।
নোন ফ্যাক্ট ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url